নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পারিবারিক কলহের জেরে দায়েরকৃত মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় মো. জালাল হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের সখেরগাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বুধবার (১২ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী (৩৫) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- আড়াইহাজারের সাতগাঁও ইউনিয়নের সখেরগাঁ গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. জালাল হোসেন, সেলিম ও জামালের ছেলে মো. সোহেল। পুলিশ প্রধান আসামি জালাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জালাল গৃহবধূর স্বামীর চাচাতো ভাই। ২০২৪ সালে পারিবারিক কলহের ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় দায়েরকৃত মামলায় গৃহবধূর স্বামীকে প্রধান আসামি করে ভয়ভীতি দেখান জালাল। এ সময় মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ফোনে কথা বলার প্রস্তাব দেন। ঘটনার একপর্যায়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফাঁকা পেয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন জালাল। পরবর্তীতে আবারও মামলা খারিজের কথা বলে নরসিংদীর একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করেন এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন।
পরবর্তীতে তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিডিও বাকি আসামিদের সরবরাহ করেন এবং তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে ও বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করে। এভাবে ব্ল্যাকমেইল করে পুনরায় বাদীকে ধর্ষণ করেন জালাল। একপর্যায়ে এ ঘটনায় কোনো মামলা না করার শর্তে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। পরবর্তীতে পুনরায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি প্রচার করতে থাকলে থানায় মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।